তিতাস উপজেলার দর্শনীয় স্থান হিসেবে মজিদপুরের জমিদার বাড়ির উল্লেখ্যযোগ্য। বর্তমানে জমিদার বাড়ির সবগুলো ভবনই জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তবে ভবনগুলো বেশ কারুকার্য খচিত এবং বিভিন্ন খুপড়ির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। ভবনগুলোর মাঝে সূড়ঙ্গ পথও রয়েছে।
সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ ইংরেজ আমলের প্রথমদিকে লর্ড কর্সওয়ালিস জায়গীরদারী প্রথাকে বিলুপ্ত করে জমিদারী প্রথা প্রচলন করেন। তৎকালীন মুসলমানদের প্রতি বিদ্বেষভাব থাকার কারণে ইংরেজরা হিন্দু বুদ্ধিমান ও তাবেদার শ্রেনীর লোকদের জমিদারী প্রদান করেন। বৃহত্তর দাউদকান্দি মূলতঃ মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা বিধায় কোন প্রভাবশালী জমিদার ছিল না। সোনারগাঁয়ে হিন্দু জমিদারদের অধীনেই পরিচালিত হতে দাউদকান্দি পরগণা। তবে তিতাসের মজিদপুরে হিন্দু জমিদার বাড়ির নিদর্শন এখনও বিদ্যমান। জমিদার বাড়ির মোট ১৭টি অট্টালিকার মধ্যে ৩টি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। জমিদার বাড়ির আশেপাশে ১টি দীঘি এবং ছোটবড় মিলে প্রায় ২০টি পুকুর রয়েছে। জানা যায়, জমিদারী শাসনের শুরুর দিকে মজিদপুর জমিদার বাড়ির প্রথম পুরুষ শ্রী রামলোচন বায় মজিদপুরে এসে বসতি স্থাপন করেন। মেঘনা, তিতাস, হোমনা ও মুরাদনগর পর্যন্ত তাদের জমিদারী ছিল।
যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ গৌরিপুর-হোমনা সড়কে কড়িকান্দি বাজার হতে পশ্চিম দিকে আংশিক পাকাসড়ক পথে যাতায়াত ব্যবস্থা রয়েছে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS